This text was part of an address delivered at the Creative Writing Program of the University of Philadelphia, September 2005.
Fiction and the Dream John Banville
A man wakes in the morning, feeling light-headed, even somewhat dazed. Standing in the curtained gloom in his pyjamas, blinking, he feels that somehow he is not his real, vital, fully conscious self. It is as if that other, alert version of him is still in bed, and that what has got up is a sort of shadow-self, tremulous, two-dimensional. What is the matter? Is he “coming down with something”? He does seem a little feverish. But no, he decides, what is afflicting him is no physical malady. There is, rather, something the matter with his mind. His brain feels heavy, and as if it were a size too large for his skull. Then, suddenly, in a rush, he remembers the dream.
It was one of those dreams that seem to take the entire night to be dreamt. All of him was involved in it, his unconscious, his subconscious, his memory, his imagination; even his physical self seemed thrown into the effort. The details of the dream flood back, uncanny, absurd, terrifying, and all freighted with a mysterious weight—such a weight, it seems, as is carried by only the most profound experiences of life, of waking life, that is. And indeed, all of his life, all of the essentials of his life, were somehow there, in the dream, folded tight, like the petals of a rosebud. Some great truth has been revealed to him, in a code he knows he will not be able to crack. But cracking the code is not important, is not necessary; in fact, as in a work of art, the code itself is the meaning.
He puts on his dressing gown and his slippers and goes downstairs. Everything around him looks strange. Has his wife’s eyes developed overnight that slight imbalance, the right one a fraction lower than the left, or is it something he has never noticed before? The cat in its corner watches him out of an eerie stillness. Sounds enter from the street, familiar and at the same time mysterious. The dream is infecting his waking world.
He begins to tell his wife about the dream, feeling a little bashful, for he knows how silly the dreamed events will sound. His wife listens, nodding distractedly. He tries to give his words something of the weight that there was in the dream. He is coming to the crux of the thing, the moment when his dreaming self woke in the midst of the dark wood, among the murmuring voices. Suddenly his wife opens her mouth wide—is she going to beg him to stop, is she going to cry out that she finds what he is telling her too terrifying?—is she going to scream? No: she yawns, mightily, with little inward gasps, the hinges of her jaws cracking, and finishes with a long, shivery sigh, and asks if he would like to finish what is left of the scrambled egg.
The dreamer droops, dejected. He has offered something precious and it has been spurned. How can she not feel the significance of the things he has been describing to her? How can she not see the bare trees and the darkened air, the memory of which is darkening the very air around them now—how can she not hear the murmurous voices, as he heard them? He trudges back upstairs to get himself ready for another, ordinary, day. The momentous revelations of the night begin to recede. It was just a dream, after all.
But what if, instead of accepting the simple fact that our most chaotic, our most exciting, our most significant dreams are nothing but boring to others, even our significant others—what if he said to his wife, All right, I’ll show you! I’ll sit down and write out the dream in such an intense and compelling formulation that when you read it you, too, will have the dream; you, too, will find yourself wandering in the wild wood at nightfall; you, too, will hear the dream voices telling you your own most secret secrets.
I can think of no better analogy than this for the process of writing a novel. The novelist’s aim is to make the reader have the dream—not just to read about it, but actually to experience it: to have the dream; to write the novel.
Now, these are dangerous assertions. In this post-religious age—and the fundamentalists, Christian, Muslim and other, only attest to the fact that ours is an age after religion—people are looking about in some desperation for a new priesthood. And there is something about the artist in general and the writer in particular which seems priest-like: the unceasing commitment to an etherial faith, the mixture of arrogance and humility, the daily devotions, the confessional readiness to attend the foibles and fears of the laity. The writer goes into a room, the inviolable domestic holy of holies—the study—and remains there alone for hour after hour in eerie silence. With what deities does he commune, in there, what rituals does he enact? Surely he knows something that others, the uninitiates, do not; surely he is privy to a wisdom far beyond theirs.
These are delusions, of course. The artist, the writer, knows no more about the great matters of life and the spirit than anyone else—indeed, he probably knows less. This is the paradox. As Henry James has it, we work in the dark, we do what we can, we give what we have, the rest is the madness of art. And Kafka, with a sad laugh, adds: The artist is the man who has nothing to say.
The writer is not a priest, not a shaman, not a holy dreamer. Yet his work is dragged up out of that darksome well where the essential self cowers, in fear of the light.
I have no grand psychological theory of creativity. I do not pretend to know how the mind, consciously or otherwise, processes the base metal of quotidian life into the gold of art. Even if I could find out, I would not want to. Certain things should not be investigated.
The dream world is a strange place. Everything there is at once real and unreal. The most trivial or ridiculous things can seem to carry a tremendous significance, a significance which—and here I agree with Freud—the waking mind would never dare to suggest or acknowledge. In dreams the mind speaks its truths through the medium of a fabulous nonsense. So, I think, does the novel.
The writing of fiction is far more than the telling of stories. It is an ancient, an elemental, urge which springs, like the dream, from a desperate imperative to encode and preserve things that are buried in us deep beyond words. This is its significance, its danger and its glory.
end
কাহিনী ও স্বপ্ন
জন ব্যানভীল
সকালে ঘুম ভাঙার পর লোকটির মনে হল সে কেমন ঘোরের মধ্যে রয়েছে। আসল যে মানুষটি, সে যেন তখনো ঘুমিয়েই আছে; রাত পোশাকে যে দাঁড়িয়ে আছে সে কেবল একটি ছায়া মাত্র। লোকটি ভাবতে লাগলো, কি হয়েছে তার? সে কি অসুস্থ হয়ে পড়েছে? একটু জ্বর জ্বর লাগছে মনে হচ্ছে; না, শারীরিক ভাবে সুস্থই আছে সে; যে অস্বস্তিটি হচ্ছে সেটি তার মনের মধ্যে। তখন হঠাৎই তার গত রাতের স্বপ্নটি মনে পড়ে গেলো।
এটি এমন একটি স্বপ্ন যা তার মনে হচ্ছে সম্পূর্ণ রাত জুড়েই দেখেছে সে। তার চেতন, অবচেতন মন, কল্পনা শক্তি, এমন কি শরীরের সব জোর টুকুই যেন লেগেছে এই স্বপ্নটি দেখতে। সম্পূর্ণ স্বপ্নটি মনে পড়ে গেলো তার; ভয়াবহ, অস্বস্তিকর সে স্বপ্ন। তার জীবনে যা কিছু অপরিহার্য্য তা সবই যেন ছিল এই স্বপ্নে, একে অপরের সঙ্গে জুড়ে ঠিক যেন গোলাপের কুঁড়ির মতো। কোনো এক গভীর সত্য যেন প্রকাশিত হয়েছে এই স্বপ্নে; কিন্তু সেই সত্য প্রকাশ পেয়েছে একটি সঙ্কেতের আবরণে। এই সঙ্কেতের মানে সে কোনো দিনই উদ্ধার করতে পারবে না। তবে মানে খুঁজে পাওয়া আবশ্যক নয়; কোনো নিপুন শিল্প কর্মের মতো এই সঙ্কেতও স্বয়ং স্বম্পূর্ণ।
রাত পোশাকের উপর ড্রেসিংগাউনটা পরে নিয়ে, পায়ে চটি গলিয়ে নিচের তলায় নেমে এলো সে। চারিদিকের সব কিছুই যেন কেমন বিচিত্র ঠেকলো তার কাছে। এমন কি তার স্ত্রীর চোখ দুটিতেও সে একটা অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করলো; ডান চোখটি যেন বাঁ চোখের একটু নিচে মনে হল। এই অসামঞ্জস্যটি কি চিরকালই ছিল, শুধুমাত্র খেয়াল করেনি সে? ঘরের কোনে বসে থাকা বেড়ালটি রহস্যজনক স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার দিকে। রাস্তা থেকে শব্দ ভেসে আসছে যা একই সঙ্গে চেনা এবং অচেনা লাগছে তার। স্বপ্নটি কেমন যেন প্রভাবিত করছে তার সত্যির জগৎকে।
সে তার স্ত্রীকে স্বপ্নটি বর্ণনা করা শুরু করলো; একটু সঙ্কোচ বোধ হলো, কারণ তার স্ত্রী ভাবতেই পারে একটি অতি তুচ্ছ ব্যাপারকে অতিরিক্ত প্রাধান্য দিচ্ছে সে। তার স্ত্রী শুনছে, অন্যমনস্ক ভাবে মাথাও নাড়ছে। লোকটি চেষ্টা করছে কথার মাধ্যমে স্বপ্নের গভীরতা তুলে ধরতে। স্বপ্নের প্রধান মুহূর্তটায় পৌঁছচ্ছে সে -- সেই যেখানে তার ঘুমন্ত সত্তা জেগে উঠলো গভীর জঙ্গলের মধ্যে, শুনতে পেলো অস্পষ্ট গুঞ্জন। হঠাৎ তার স্ত্রী মুখ খুললো -- সে কি তাকে থামতে বলবে? চিৎকার করে উঠবে যে যা সে শোনাচ্ছে তা অতিব ভয়াবহ? না -- তার স্ত্রী শুধু হাই তুললো, একটি দীর্ঘশ্বাস ফেলে জিজ্ঞেস করলো প্লেটে পড়ে থাকা ডিমের অংশবিশেষ সে কি আর খাবে?
লোকটি বিষন্ন বোধ করলো; তাৎপর্যপূর্ণ কিছু বোঝাতে চেষ্টা করছিলো সে, কিন্তু তার স্ত্রী বুঝলো না। কেন উপলব্ধি করতে পারলো না তার স্ত্রী সে যা বলছিলো তার তাৎপর্য? কেন দেখতে পেলো না সেই গভীর জঙ্গল, সেই পাতাবিহীন গাছগুলো? কেন তার মতো শুনতে পেলো না সেই অস্পষ্ট ধ্বনি? ক্লান্ত পদক্ষেপে উপর তলায় ফিরে গেলো সে; তৈরী হতে হবে আরেকটি গতানুগতিক দিনের জন্য। রাতে যে রহস্য প্রকাশ পেয়েছিলো তা ধীরে ধীরে মন থেকে সরে যেতে লাগলো। শুধুমাত্র একটি স্বপ্নই দেখেছে সে, তার বেশি তো কিছু নয়।
কিন্তু যদি লোকটি এ কথা মেনে না নিতো যে আমাদের সবচাইতে তাৎপর্যপূর্ণ ও রোমাঞ্চকর স্বপ্নও অন্যের কাছে, এমন কি আমাদের অতি আপনজনের কাছেও নিরর্থক? যদি সে তার স্ত্রী কে বলতো আমার স্বপ্ন আমি পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে তুলে ধরবো তোমার কাছে লেখার মাধ্যমে? আমার লেখার মধ্যে দিয়ে তুমিও দেখতে পাবে সেই স্বপ্ন -- দেখবে সেই গভীর জঙ্গল, শুনবে সেই অস্পষ্ট গুঞ্জন যা তোমার কানে কানে বলে যাবে তোমারই মনের সব চাইতে গোপন তথ্য। তাহলে কি কৌতুহলের উদ্রেক হতো তার স্ত্রীর মনে? স্বপ্নটি চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠতো তার কাছে? উপন্যাস রচনার প্রক্রিয়াটিও ঠিক এমনই। উপন্যাসিক চান তার পাঠিকা/পাঠকরা শুধুমাত্র স্বপ্নটি সম্বন্ধে পড়ুনই না; তাঁরাও সেটি প্রত্যক্ষ করুন এবং উপলব্ধি করুন যা লুকিয়ে আছে তার মধ্যে।
আজকের যুগে যখন ধৰ্ম মানুষ এর জীবনের বেশির ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারছে না, তখন মানুষ অন্য কোথাও খুঁজছে সেই উত্তর। তাই শিল্পী / লেখক / উপন্যাসিকই আজকের দিনের নতুন পুরোহিত। লেখক প্রবেশ করেন তাঁর পূজার কক্ষে যা কিনা তাঁর পড়ার ঘর। সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা, দিনের পর দিন সঙ্গী হয় নিস্তব্ধতা এবং একাকিত্ব। কোন দেবতার আরাধনা করেন তিনি সেখানে? কোন আচার আচরণ পালন করেন তিনি? নিশ্চয় তিনি এমন কোনো জ্ঞানের অধিকারী যা থেকে অন্যরা বঞ্চিত।
এ কথা অবশ্যই সত্যি নয়। লেখকের জাগতিক বা আধ্যাতিক বিষয়ে এমন কিছুই জানা নেই যা অন্যদের অজানা। সম্ভবত সব বিষয়েই তাঁর জ্ঞান অন্যদের তুলনায় কমই। এটা আপাত দৃষ্টিতে অসত্য মনে হলেও এটাই সত্যি। হেনরী জেমস এর কথায় "আমরা অন্ধকারে কাজ করি; আমরা যা পারি তাই করি, আমাদের যা আছে তাই দি, বাকিটা শিল্পের ক্ষিপ্ততা"। বিষন্ন হাসি হেসে কাফকা বলেছেন, "শিল্পী সেই মানুষ যার কিছুই বলার নেই"।
লেখক পুরোহিত নন, ওঝা নন, কোনো ঐশ্বরিক ক্ষমতার অধিকারীও নন। তাঁর লেখার উৎস হলো মনের সেই অন্ধকার কুটুরি যা আলোকে ভয় পায়।
আমার সৃজনশীলতার কোনো মহান মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্ব জানা নেই। আমি এই মিথ্যে দাবি করবো না যে মনের স্বচেতন বা অবচেতন ভাবে গতানুগতিক জীবনের অতি সাধারণ বস্তুকে নিপুন শিল্প কর্মে পরিণত করবার পদ্ধতি আমার জানা আছে। জানার উপায় থাকলেও সে চেষ্টা আমি করবো না। কোনো কোনো জিনিস অনুসন্ধান না করাই ভালো।
স্বপ্নের জগৎটি অতি বিচিত্র। সেখানে সব কিছু একই সঙ্গে সত্যি এবং মিথ্যে। জীবনের তুচ্ছাতিতুচ্ছ বস্তুও সেখানে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। এ ব্যাপারে আমি ফ্রয়েড এর সঙ্গে একমত যে আমাদের স্বচেতন মন এই সব তুচ্ছ বস্তুর তাৎপর্য কোনো দিনই স্বীকার করবে না। স্বপ্ন মনের গোপন সত্য প্রকাশের এক অর্থহীন মাধ্যম। আমার মনে হয় উপন্যাস রচনাও তাই।
কাহিনী রচনা শুধুমাত্র গল্প বলা নয়। তা হলো মনের গোপন সত্য, যা কথায় প্রকাশ করা যায় না, তাকেই প্রকাশ ও সংরক্ষিত করবার এক সুপ্রাচীন প্রচেষ্টা। আর এই কারণেই কাহিনী হয়ে ওঠে তাৎপর্যপূর্ণ, ভয়াবহ, এবং গৌরবময়।
অনুবাদ
শর্মিতা লাহিড়ী
The process of translating into Bengali John Banville’s “Fiction and the Dream”
I am not a translation theorist or formally trained in the art and craft of translation. I grew up learning to speak, read and write two languages, simultaneously – Bengali and English. I continue an equal association with both the languages, formally and informally. My first engagement with translation was as a child when I translated the stories I read in English into Bengali for my grandmother, a voracious reader of Bengali, who was unfamiliar with English. I engaged with translation as a formal process during my Ph.D., since my dissertation had, in certain parts, references to as well as focus on works in Bengali, some of which have not been translated into English. So my association with the Banville Project, which is my first formal involvement with translation from English to Bengali, has been at once challenging and intellectually rewarding.
I began my work with the premise that often much does get lost in translation. I have felt that time and again in case of several works, written in various languages, when I read the English translations under the supervision of professors, familiar with the text in the original language, and when I read translations from Bengali to English or vice-versa. Thus while teaching the works of Bengali writers/poets, my choices are inevitably guided by the availability of what I term the best translation of the works in English.
I was determined to do my best to lose as little as possible in my translation of Banville. So what had to be ruled out at the beginning itself was the possibility of a literal word to word, and sentence by sentence translation into Bengali of Banville’s prose, as the essence of Banville’s work would not be captured successfully by such a process. Another seminal factor was that the equivalent Bengali counterparts of several words used in the original English text did not convey the exact meaning that the usage of the English word/s did, or give succinct expression to the thoughts in the original text. For example, the expressions “coming down with something?”, “details of the dream flood back” and “significant others” are not expressions used in Bengali. Again, the Bengali equivalents of certain words, for instance, “infecting”, ‘silly”, “scrambled”, “boring” would not denote appropriately what the words denote in Banville’s text - “The dream is infecting his waking world”; “for he knows how silly the dreamed events would sound”; “. . . and asks if he would like to finish what is left of the scrambled egg”; “… our most significant dreams are nothing but boring to others. . .” . A back translation of my Bengali version of these expressions and words would read as follows: “coming down with something?”- has he fallen ill; “details of the dream flood back”- he remembered the dream with its minutest details; “significant others” – nearest and dearest ones; “infecting”- influencing; “silly” – insignificant; “what is left of the scrambled egg” –the left over egg on his plate; “boring”- insignificant- (a Bengali synonym of the word used for silly; not the same word).
Sentence structure of English and Bengali are very different; hence, often a long paragraph came to be a short one in the translated version, and in certain sections what Banville has conveyed in a sentence or two, or in very few words needed several sentences or a plethora of words to be effectively translated into Bengali. For instance, the section “what if he said to his wife, All right, I’ll show you! I’ll sit down and write out the dream in such a intense and compelling formulation that when you read it you, too, will have the dream; you, too, will find yourself wandering in the wild wood at nightfall; you, too, will hear the dream voices telling you your own most secret secrets” had to be translated into several short sentences, quite different in structure, including sequence of words, from the ones used here, and words that are not exact Bengali equivalents had to be used to convey Banville’s thoughts with as least shift of meaning as possible.
The beauty of Banville’s prose and the profoundness of his thoughts needed particular attention. Thus arose the necessity of constantly playing with the words and the structure of the sentences so that neither the beauty of the prose nor the profundity of the thoughts was compromised in the Bengali version. Every single word in the original text, its chosen Bengali equivalent/the word/s used to convey its meaning if a Bengali equivalent did not serve the purpose, and the sequence of the use of these words/the Bengali equivalent that constituted the sentence structures in the translation, came to be of immense significance. Here, I provide a literal back translation of the section from Banville quoted in the paragraph above from the Bengali version to illustrate the points I have stated in this and the preceding paragraph (the sentences are purposefully left grammatically incorrect in a bid to highlight the differences I have mentioned) – “What if he his wife told my dream I vividly uphold to you through my writing? My writing through you too will see the dream- see the dense forest, listen that indistinct murmur which your ear ear will whisper your mind’s most deepest secrets.”
My readings and literary training has made me aware that sometimes readers of translated works feel a sense of alienation from the work, originally written in another language, as translations at times cannot articulate fully the sensibility expressed in another language. This has been a serious concern in the debate regarding the quality of Indian Writing in English and literature written in the various regional languages of India. Reputed scholars like Meenakshi Mukherjee and Aijaz Ahmad have argued that while Indian Writing in English takes cognizance of the Western English speaking audience and thus has received international acclaim, the best of Indian regional language literature translated into English have not garnered such wide spread appreciation as the international readers have failed to connect with the sensibility expressed in the translated versions. I endeavored to not let this mar my translation. This necessitated reading and re-reading Banville’s text, churning his thoughts again and again in my mind to completely comprehend his thoughts and sensibility, and writing and re-writing the Bengali version till I was convinced his sensibility found appropriate articulation in the Bengali translation. Hence, I left out some of the details of the following section, which I thought a reader of the Bengali version would not comprehend - “Now, these are dangerous assertions. In this post-religious age—and the fundamentalists, Christian, Muslim and other, only attest to the fact that ours is an age after religion—people are looking about in some desperation for a new priesthood.” The word “post-religious age” has no/near Bengali equivalent, and the closest Bengali equivalent of the word “fundamentalist” is superstitious. Even if the term “post-religious” and the complete sentence “ In this post-religious age—and the fundamentalists, Christian, Muslim and other, only attest to the fact that ours is an age after religion—people are looking about in some desperation for a new priesthood” is translated into Bengali, it would not denote anything meaningful as the concept “post-religious age” or “age after religion” is alien to the majority of the Bengali (in fact, Indian) population. My translation of the above mentioned lines thus simply reads “in today’s world when religion has failed to answer most of life’s questions, we are seeking answers elsewhere.”
The process of translating Banville’s work has been “learning by doing” training for me in translation from English to Bengali. It has facilitated my understanding of the nuances that translating involves. Further, I have developed greater awareness of the differences between English and Bengali as languages. The learning experience has not been solely limited to translation from English into Bengali and vice-versa; it has enhanced my comprehension of the process of translation as a whole. In fact, so effective has the learning experience been for me that for the first time in the Spring semester of 2019, I could venture to teach an English translation of Saadat Hasan Manto’s short story “Khol Do,” without having read the original work, since I cannot read Urdu. After reading two available translations of the story, I could discern which one did perfect justice to Manto’s original text, as that particular translation was much more nuanced and created the effect of loss and horror that Manto’s story on the partition of India and its effect on women through the brutalization of their bodies intended to create. The involvement with the Banville Project and translating “Fiction and the Dream” into “Kahini O Swapno” has indeed been intellectually enriching.